খিস্তি দাও
- কুমার সৌরভ ২৮-০৪-২০২৪

বাজারি খিস্তি ঝেড়ে কুপোকাৎ করার
এই চালটি তোমার মন্দ নয়।

প্রতিদিন দোকানি পঁচা মাল ব্যাগে পুরে দেয়
আর আমি কবিতা আওড়াতে আওড়াতে
রিক্সায় চড়ে বেনসন ফুঁকি
বসন্ত আসতে না আসতেই
আনমনা হয়ে পড়ি নদীর শ্যাওলা বুকে
পাতাহীন বৃক্ষের মরু-বালুয়
হাঁটু ভেঙে প্রণত হই নিজের গৃহের
বদলে অন্য কোন পরিচয়হীন গৃহে
এমন আনমনা কবির সম্বিৎ ফিরাতে
তোমার খিস্তি চিমটি কাটার মতো জরুরি ঠিক।

পত্রিকার অফিসে ধর্ষণের খবর যেন মন্ডা মিঠাই
খুন হলে ক্ষির জমে আঠালো মিষ্টির শরীরে
বিন্দুর বৃত্ত ভরে হাসির পেনসিল ঘসে ঘসে
ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী তখন
সেফ কাস্টডিতে বসে পৃথিবীর পতন দেখে
ভয়মাখা চোখে
বেআইনি বন্দুক নিরিহ জেলের প্রাণ কেড়ে নিয়ে
সমাবেশে আসে, করতালি হর্ষধ্বনির সুখ নেয় সে।

সময়ের এই গলিত সুখের চাইতে ঢের সুমধুর
তোমার খিস্তির ধারালো আগ্রাসন।

হে আমার সুহৃদপ্রবর-
এবার উন্মত্ত হও, মত্ত করো আমাকে শব্দের নাচে
শব্দের যে অনল মরুর বুকে ফুটায় ক্ষুধার খেজুর
জনক কৃষকের লাঙলের ফলায় তুলে শস্যের ভ্রুণ
প্রেমের স্তাবক কবির কলমে আনে ঢেউয়ের গর্জন
ওই কিশোরীর ছেড়া ফ্রক পাজামার দুই গজ ফিতা
পরাজয়ের ফাঁস নয় হয়ে উঠে সাহসের জয়পতাকা
সেই শব্দের অধিকার দাও আমাকে
খিস্তি দিতে দিতে।

১৫.০২.২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।